অনলাইনে সহজ কাজে বেশি কামাই

অনলাইনে সহজ কাজে বেশি কামাই
দেশের অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সার অ্যাপ-সফটওয়্যার-ওয়েব ডেভেলপ ও ডিজাইনের কাজ করে আয় করছেন। এসব কাজ করতে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার দরকার আছে। এর বাইরেও অনলাইনে অনেক সহজ কাজ আছে, যেগুলো কম সময়েই শেষ করা যায়। কাজের তুলনায় এসবে পেমেন্টও কিছুটা বেশি। আরো জানাচ্ছেন হাবিব তারেক
লেখালেখিতে আয়
অনলাইনের ভালো লেখকের কদর বেশ। সম্মানীও চড়া। তবে এর জন্য ভাষা, শব্দ প্রয়োগ, মূল বিষয়ে আগ্রহ তৈরি—এসব বিষয়ের ওপর দখল থাকতে হবে। বিদেশি অনেক ফ্রিল্যান্সারই অনলাইনে লেখালেখি করে আয় করছেন। তবে দেশের ফ্রিল্যান্সাররা এ কাজে অনেকটাই পিছিয়ে। কিছু একটা লিখলেই তা গ্রহণযোগ্যতার মাপকাঠিতে পাস করতে পারে না। যে টপিক নিয়ে লেখা হচ্ছে, তা নিয়ে ব্যাপক ধারণা রাখার পাশাপাশি লেখায় সঠিকভাবে তুলে ধরাটাও জরুরি। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে লেখাটা কারো বিরক্তির কারণ না হয়, গুছিয়ে অল্প কথায় যেন বেশি তথ্য দেওয়া যায়।
অনেক সময় দেখা যায়, কম গুরুত্বপূর্ণ টপিকের লেখাও মানুষ মন দিয়ে পড়ে, সে ব্যাপারে আগ্রহীও হয়ে ওঠে। এখানেই লেখকের সার্থকতা। আর অনলাইনে বেশির ভাগ লেখার সঙ্গে কোনো না কোনো পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের প্রচার-প্রসারের উদ্দেশ্য থাকে। ভালো লিখতে পারে, অনলাইনে খুব পরিচিত এমন কাউকে হায়ার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
যেমন ধরুন, একজন পর্যটক নেটে নিয়মিত ভ্রমণ কাহিনী লেখেন। সোশ্যাল সাইটে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা পড়ে অসংখ্য ফ্যান। এই জনপ্রিয়তা দেখে পর্যটন এলাকার এক রেস্টুরেন্ট মালিক চিন্তা করলেন, পর্যটকের লেখা তো ব্যবসার প্রসারে কাজে লাগানো যায়। তিনি সেই লেখকের সঙ্গে চুক্তিতে গেলেন—তাঁর রেস্টুরেন্ট নিয়ে ইতিবাচক কিছু লিখতে হবে। লেখক ওই এলাকার এক ভ্রমণ কাহিনীর একটি অংশে ওই রেস্টুরেন্টের তারিফ করে কয়েক লাইন জুড়ে দিলেন।
লেখালেখি করতে হলে মাথায় রাখতে হবে—
* পোস্ট স্বতন্ত্র হতে হবে। অন্য কোনো সাইট থেকে কপি করা যাবে না।
* লেখার মান ভালো হতে হবে।
* টপিক নির্ধারণ করতে হবে পছন্দের বা জানা বিষয়ে।
* ইংরেজি ভাষায় লেখালেখিতে অভ্যস্ত হতে হবে।
মাইক্রোওয়ার্কার্স
যাঁরা অনলাইনে কম পরিশ্রমে বা অল্প সময়ে কাজ করে পেমেন্ট পেতে চান, তাঁদের জন্য উপযোগী একটি সাইট হলো মাইক্রো ওয়ার্কার্স (microworkers.com)। এসব কাজের পেমেন্টের অঙ্ক কম মনে হলেও পরিশ্রমের তুলনায় খারাপ না।
সাইটটির বৈশিষ্ট্য—
* কাজ পেতে প্রতিযোগিতা হয় না অর্থাৎবিড করতে হয় না।
* কাজগুলো কম পরিশ্রমের, করতেও কম সময় লাগে।
* এখানকার কাজগুলো সাধারণত ৩০ মিনিটের মধ্যেই শেষ করা যায়।
* প্রতি কাজের আয় তিন-চার ডলারের মতো।
* মোট আয় অন্তত ১০ ডলার হলেই ওঠানো যায়।
মাইক্রোওয়ার্কার্সের মতো আরো কিছু সাইট আছে—
মিনিটওয়ার্কার্স : এ সাইটে বায়াররা নিয়মিত তাঁদের কাজের চাহিদা পোস্ট করেন, আর আগ্রহী ওয়ার্কার বা ফ্রিল্যান্সাররা সেগুলো করে পেমেন্ট পান।
রেপিডওয়ার্কার্স : এই সাইট (rapidworkers.com) থেকেও অল্প সময়ের কাজগুলো পাওয়া যাবে। প্রতি কাজে আয় দুই ডলারের মতো। এখানকার কাজগুলো হতে পারে এমন—সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ভোট, ফলো, লাইক, সাইনআপ ইত্যাদি।
মাই ইজি টাস্ক : এই সাইটও অনেকটা রেপিড ওয়ার্কার্সের মতো।
জব বয় : সাইন আপসহ বিভিন্ন কাজে ডলার মিলবে jobboy.com সাইট থেকে। এ ছাড়া অনেক ধরনের কাজের সুযোগ আছে সাইটটিতে। বিভিন্ন ফাইল ডাউনলোড, রিভিউ লেখার কাজ করতে হয় এখানে।
শর্ট টাস্ক : সাইট ভিজিট, সাইনআপ, ডাউনলোড, কমেন্ট—এ ধরনের কাজ পাওয়া যাবে shorttask.com-এ।
লিংক শেয়ারে আয়
অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে একটি কথা প্রচলিত, ‘আপনি যখন ঘুমে, তখনো আপনার অ্যাকাউন্টে ডলার যোগ হচ্ছে।’ এ ধরনের কথা লিংক শেয়ারিং থেকে আয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কোনো একটি বিশেষ কনটেন্ট বা পোস্টের লিংক adf.lyসাইটের মাধ্যমে কনভার্ট করলে লিংকের ঠিকানা পরিবর্তন হবে। এরপর পরিবর্তিত লিংকটি শেয়ার বা পোস্ট করার পর কেউ এতে ক্লিক করলে কিছুক্ষণ একটি বিজ্ঞাপন পৃষ্ঠা দেখাবে, তারপর মূল লিংকের পেজ খুলবে। অর্থাৎমূল পেজে যাওয়ার আগে adf.ly সাইটের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখাবে, আয় এ থেকেই আসবে। সাধারণত প্রতি ১০ হাজার ক্লিকে পাঁচ ডলার করে দেয় adf.ly
পেমেন্ট যেভাবে
আপওয়ার্ক থেকে আয় করা ডলার হাতে পাওয়ার জন্য পেমেন্ট মেথড নির্ধারণ করতে হবে। সাইটটিতে লগ ইন করার পর ওপরে ডান দিকে প্রোফাইল মেন্যুতে ক্লিক করে সেটিংস থেকে ‘গেট পেইড’ অংশে যেতে হবে। সেখানে পেমেন্ট মেথড হিসেবে পেওনিয়ার (payoneer.com), স্ক্রিল (skrill.com), ফান্ড ট্রান্সফার আছে। এর মধ্যে পেওনিয়ার ও স্ক্রিল হচ্ছে পেমেন্ট গেটওয়ে। এদের সাইটে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে এ সেবা নেওয়া যাবে। চাইলে ‘ফান্ড ট্রান্সফার’ অংশে গিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করে পাওনা ক্যাশ করা যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রতি লেনদেনের চার্জ (৪.৯৯ ডলার) তুলনামূলক বেশি।

আমাদের অফিসের ঠিকানা:
৮৭, বিএনএস সেন্টার,৬ষ্ঠ তলা (রুম নং# ৬১০/এ, এবং ৬১৪),সেক্টর # ০৭, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০।হ্যালো : ০১৬১১ ৯০০ ৯৩৩
অথবা
নন্দী ভবন - (৩য় তলা),(ইসলামী ব্যাংক সংলগ্ন, গাজীপুর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনষ্টিটিউট এর পাশের বিল্ডিং),চন্দনা চৌরাস্তা, জয়দেবপুর, গাজীপুর।হ্যালো : ০১৯৭৩ ৯০০ ৯৩৩বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন:
www.uit.com.bdwww.uttarainfotech.com

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন