একজন ব্লগারের কি কি টুলসের প্রয়োজন হতে পারে

একজন সাধারন ব্লগারও কোন না কোন টুলস ইউজ করে থাকেন। আর প্রফেশনাল ব্লগাররা তো আছেনই। যারা ব্লগিং করে থাকেন তাদের অনেককে জিজ্ঞাসা করলে হয়তো বা তারা উত্তর দিবেন কোন টুলসই ইউজ করেন না। আসলে সেটা ঠিক না। যেমন ব্লগিং করতে গেলে আমরা অনেকেই ওয়েব ব্রাউজার ইউজ করি। তো সেটাও একটা টুল। যাই হোক সেটাকে আমরা না হয় হিসাবে বাদই দিলাম। তাও কিছু টুলস থাকে যেগুলো হয়তো আমরা ইউজ করে থাকি কিন্তু খেয়াল করি না।
টেক্সট: ব্লগিং এর ক্যাটাগরী এর দিকে যেতে চাই না। ধরে নিলাম আপনি বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে ব্লগিং করে থাকেন। সেটা পার্সোনাল ব্লগ মানে ভার্চুয়াল ডায়েরী হোক বা কমিউনিটি ব্লগ। হয়তো হঠাৎ কিছু একটা মনে পড়েছে যেটা নিয়ে আপনি চাইলে লিখতে পারেন। কিন্তু আপনি চাচ্ছেন সেটা নিয়ে পড়ে লিখতে। এক্ষেত্রে আইডিয়াটা যাতে না হারিয়ে যায় সেজন্য আপনি Notepad, Sticky Notes এগুলো ইউজ করতে পারেন।
  1. Notepad: উইন্ডোজের সকল এডিশনে এই টুলটি আছে। এখানে টেক্সট লিখে ফাইলটি সেভ করা যায়। প্রায় সকল অপারেটিং সিস্টেমেই এধরনের একটি করে টুল বিল্ট ইন থাকে।
  2. Sticky Notes: নোটস তৈরী করে তা সেভ করা, সময় সাপেক্ষ ব্যাপার ! হ্যাঁ যেখানে কম্পিউটার চলছে ন্যানো সেকেন্ডে সেখানে আমরা এক সেকেন্ডই বা নষ্ট করবো কেন? উইন্ডোজ সেভেন বা এইটে স্টিকি নোটস বিল্ট ইন। এর সুবিধা হচ্ছে এটির জন্য আলাদা সেভ করার কোন প্রয়োজন নেই। টাস্ক বার হতে ক্লোজ করলেও ডাটা হারায় না। আবার স্টিকি নোটস ওপেন করলেই নোটস দেখা যায়। তবে স্টিকি নোটসের ডান কোনায় ক্রস বাটন আছে সেটা ডিলিট বাটন। সেটা দিয়ে ডিলিট করলে ফেরত পাওয়া যায় না। আর স্টিকি নোটস এ কিছু লিখে যদি আপনি সেটা টাস্ক বার হতে ক্লোজ না করেন তাহলে সেটা পিসি রিস্টার্ট দিলে অটো ওপেন হয়ে যাবে। এটি একটি সুবিধা। তবে স্টিকি নোটস উইন্ডো যেহেতু টাস্কবার হতে ক্লোজ করলে ডাটা হারায় না, সেহেতু ক্লোজ করার প্রয়োজন নেই। কাজ শেষে নোটস ডিলিট বা নতুন নোটস তৈরি করতে পারবেন খুব সহজেই।
  3. Notepad++: ডেভেলপারদের একটি প্রিয় টুল। তবুও এটি অনেকের কাজে আসবে। যারা ব্লগে বিভিন্ন কোড শেয়ার করেন তারা তাদের কোড গুলো আগে এখনে পেস্ট করে দেখে নিতে পারেন। কারন এই টুলের মাধ্যমে কোডিং করলে টেক্সেটে কিছু কালার এড হয় যেগুলো দেখে সহজেই কোডের ভুল বের করা যায়। অনেক কোডিং এর টুল নেটে থাকলেও এটার সাইজ কম।
  4. Pastebin: আপনি চাইলে আপনার কোন কোড বা টেক্সট পেস্টবিন ওয়েবসাইটে রেখে আপনার ব্লগে এমবেড করতে পারবেন। এখানে অনেক প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ সাপোর্ট করে যার ফলে আপনি কোড গুলো ভালভাবে দেখতে পারবেন।
  5. Free Formatter: ফ্রী ফর্মেটারের মাধ্যমে আপনি অনেক ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ফরমেট করতে পারবেন। যেমন আপনি এইচটিএমএল কোড লিখেছেন, এখন কোডটুকু এইসাইটে দিয়ে ফরমেট করলে আপনার কোড প্রেজেন্টেশানটি অনেক সুন্দর দেখাবে।
স্ক্রীনশট ও ইমেজ: ইমেজ বা স্ক্রীনশট হচ্ছে ব্লগিং এর প্রাণ। শুধু টেক্সট মানুষের চোখে বিরক্তিকর ভাব আনে। তবে কিছু ব্যতিক্রম থাকতে পারে। তবুও ফটো শেয়ারিং বা স্ক্রীনশট শেয়ারিং এর জন্য সেগুলোকে এডিট করার প্রয়োজন। কারন আপনি যদি আপনার একটি ইমেজ যার সাইজ 5 মেগা, আপলোড দেন। তাহলে সেটি লোড হতে হতে ভিজিটর আপনার সাইটটি ক্লোজই করে দিবে। তাছাড়া ধরুন কোন টিউটোরিয়াল লিখছেন। সেক্ষেত্রে স্ক্রীনশট নেয়ার প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি সেগুলো এডিট করার প্রয়োজনও হতে পারে। আর ইমেজ অপটিমাইজেশন তো করাই লাগবে ওয়েবসাইট ফাস্ট লোডের জন্য।
  1. Paint: উইন্ডোজের ডিফল্ট টুল। নতুন ব্লগাররা সাধারনত পেইন্টেই যাবতীয় কাজ সেরে থাকেন। যেমন স্ক্রীনশট তোলা এডিট ইত্যাদি। উইন্ডোজের প্রায় সকল ভার্সনেই এটি পাবেন।
  2. Snipping Tool: এটি স্ক্রীনশট নেয়ার টুল। এর চারটি ডিফল্ট অপশন আছে স্ক্রীনশট নেয়ার। উইন্ডোজ সেভেন ও এইটের অসাধারন সংযোজন এটি।
  3. Snagit: এটি স্ক্রীনশট তোলা, এডিট, কাস্টমাইজ, স্ক্রীনশট লাইব্রেরী ম্যানেজমেন্ট, হটস্পট সহ বিভিন্ন কাজের জন্য জনপ্রিয় একটি টুল। এটির মাধ্যমে আপনি আপনার ব্রাউজারের পুরো পেজেরও স্ক্রীনশট নিতে পারবেন, পেজের সাইজ অনেক লম্বা হলেও কোন সমস্যা নেই। এই টুলের রয়েছে স্ক্রীনশট নেয়ার বিভিন্ন অপশন। তাছাড়া স্ক্রীনের কিছু অংশও আপনি চাইলে এই টুলের মাধ্যমে স্ক্রীনশট নিতে পারেন।
  4. RIOT: রিয়ট হচ্ছে একটি ইমেজ অপটিমাইজেশান টুল যার মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার ইমেজ অপটিমাইজ করে সেটির সাইজ কমাতে পারবেন।
  5. Shutter & Ksnapshot: লিনাক্স ইউজাররা স্ক্রীনশট বা ইমেজ এডিটিং এর জন্য শাটার বা কেস্ন্যাপশট ইউজ করতে পারেন। এজন্য কমান্ড লাইনও দিয়ে দিলাম। ‘sudo apt-get -y install shutter ksnapshot’ কোটেশান ছাড়া টার্মিনালে লিখে ইন্সটল করতে পারবেন।
  6. Flickr & Imgur: সার্ভারে চাপ কমাতে বা বার বার বিভিন্ন ব্লগে আপলোডের ঝামেলা এড়াতে চাইলে আপনি আপনার ইমেজ বিভিন্ন ফটোশেয়ারিং ওয়েবসাইটে রেখে সেটা ব্লগে এমবেড করতে পারেন। ফ্লিকর ও ইমেজইয়োর এর মত অনেক ফটো শেয়ারিং সাইট রয়েছে।
ফটোশপ এর মত ফটো এডিটিং টুলের কাজ যারা পারেন তারা অনেকেই নিজেদের ফটো এডিট করে ব্লগে দিয়ে থাকেন বাট সেটাকে বেসিক ব্লগিং টুলে আনলাম না।
আজ এ পর্ষন্তই। আগামীদিন  ভিডিও, অডিও, ব্লগিং সফট (সিসি ওয়েবমাস্টার, উইন্ডোজ লাইভ রাইটার) সহ আরো কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো, যদি আপনাদের এই লেখাটি ভাল লাগে। তাই লেখাটি কেমন হয়েছে জানাতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।

৪টি মন্তব্য:

  1. I get very great and helpful information from your site . Thanks for sharing this useful information . I am a gamer and I would like to suggest to you an auto-clicker which is really interesting.
    Autoclicker

    উত্তরমুছুন
  2. This is extremely helpful info!! for gamers Very good work. Everything is very interesting to learn and easy to understand. Take the given information. Visit Here
    visit here

    উত্তরমুছুন
  3. Such a great blog it is. it gives great info. I liked it vry much. Its useful and benefitial for newcomers. Btw I am gamer and I have something interesting for you. You may
    Click Here

    উত্তরমুছুন
  4. Hello,
    I get very great and helpful information from your site . Thanks for sharing this useful information . I am a gamer and I would like to suggest to you an auto-clicker which is really interesting
    visit here



    Hello,
    I get very great and helpful information from your site . Thanks for sharing this useful information . I am a gamer and I would like to suggest to you an auto-clicker which is really interesting
    visit here





    উত্তরমুছুন